সৈয়দ মো. রিফাত
হরহামেশাই শোনা যায় খাদ্যে ভেজাল কিংবা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসপত্রে ভেজালের উপস্থিতি। তবে, এবার মাদকের মধ্যেও ভেজাল দেয়ার খবর পাওয়া গেছে! নিত্যপণ্যের সীমানা পেরিয়ে এখন মাদকের মধ্যেও চলছে দুই নাম্বারী।
সূত্রমতে, শহরের পুরাতন মাদক স্পট ফতুল্লার চানমারী। যেখানে প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় গাঁজা। অভিযোগ আছে, মাদক বিক্রেতাদের আড়ালে সেখানে গাঁজার মধ্যেও ভেজাল করছে এক শ্রেণীর প্রতারক। জানা গেছে, ঈদানিং গাঁজার বদলে নারিকেলের ছোবড়া দেয়া হয় চানমারী মাদক স্পটে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবীরা।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডস্থ চানমারী বস্তিতে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যেক ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর বস্তির দুই গলিতে আসছেন মাদক বিক্রেতারা। আর সড়কের পাশে অবস্থান করছে মাদক সেবীরা। বড় আকারের একটা থলে নিয়ে মাদক বিক্রেতারা আসতেই লাইন ধরে যে যার মতো করে গাঁজা নিয়ে সেখান থেকে চলে যাচ্ছে। তবে সড়কে প্রশাসনের লোক কিংবা পুলিশের গাড়ি দেখলেই চিত্র পাল্টে যায় চানমারী বস্তির। তখন আর গাঁজা বিক্রেতাদের খোঁজ মেলে না। ঠিক ওই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে হাজির হয় এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। তারা গাঁজার বদলে নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে ছোট ছোট কাগজে পেচিয়ে রাখে। তারপর মাদক সেবীদের কাছে বিক্রি করে।
প্রতারিত একাধিক মাদক সেবী জানায়, প্রায় সময় চানমারীতে গাঁজার বদলে নারিকেলের ছোবড়া পেচিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। প্রশাসনের ভয়ে মানুষ স্পটে পোটলা (কাগজে মোড়ানো গাঁজা) খুলতে পারে না। নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার পরে প্রতারিত হতে হয় তাদের।
ক্ষুব্ধ মাদক সেবীরা বলেন, যেকোন জিনিস মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে করতে তার অভ্যাসে পরিণত হয়। মাদক সেবন যাদের অভ্যাস হয়ে গেছে তারা একদিন গাঁজা খেতে না পারলে সময় কাটাতে পারে না। প্রয়োজনে গাঁজা বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হোক। তারপরেও যেনো মানুষকে এভাবে বোকা বানানো না হয়। আরো পড়ুনঃ চোরাই বিদ্যুৎ সংযোগে ছাত্রলীগ নেতা!